চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ১৭ জুন

চট্টগ্রাম বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আগামী ১৭ জুন নগরীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মহাসমাবেশ। সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় অতিথিবৃন্দ।

শনিবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক প্রস্তুতি সভায় এসব বিষয় জানানো হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, আগামী ১৭ জুন চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অত্যন্ত সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা কমান্ডারদেও সমন্বয়ে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ যেভাবে সফল করা হয়েছিল ঠিক সেভাবে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অনুষ্ঠিতব্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ সফল করতে হবে।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানী রাজাকার-আলবদরকে পরাজিত করার মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছি। সে দিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চট্টগ্রাম থেকে মহান স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। ৬ দফা আন্দোলনের ডাকও চট্টগ্রাম থেকে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে পাকিস্তানী রাজাকার বাহিনীর দোসর জামাত-শিবিরের কোন স্থান নেই। তারা কোথাও সভা-সমাবেশ করলে কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাঁদপুর জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ ওয়াদুদ (যুদ্ধাহত), খাগড়াছড়ি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, রাঙ্গামাটি জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ফেনী জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব, নোয়াখালী জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক মিলন, বান্দরবান জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সরওয়ার কামাল দুলু, চট্টগ্রাম মহানগরের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, লক্ষীপুরের যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা, কুমিল্লার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্নর আলী, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন, আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম, চন্দনাইশ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরো, মিরসরাই কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহম্মদ, রাঙ্গুনিয়া কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বশর, সাতকানিয়া কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এলএমজি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার প্রমূখ।

চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডারসহ সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।