চট্টগ্রামে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা

চট্টগ্রামে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। বেড়েছে ক্রেতা, দর্শনার্থী, পাঠকের ভিড়। সেই সাথে বেড়েছ বেচা-বিক্রিও। পাঠক, ক্রেতারা বই কিনে সে বইয়ে নিচ্ছেন লেখকের অটোগ্রাফ। কেউ কেউ নিচ্ছেন লেখকের সাথে সেলফিও। বিক্রি বাড়ায় খুশি লেখক ও প্রকাশকরা। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে পেরে উচ্ছ্বাসিত পাঠকরাও।

বইমেলা ‍উপলক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গনে পাঠক-লেখক আড্ডা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নানা ধরনের আয়োজন ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে এবারের মেলায়। মেলার শেষভাগে এসেও প্রায় প্রতিদিনই মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে নতুন নতুন বইয়ের।

সারাদেশের ১০৮টি প্রকাশনী তাদের বই নিয়ে ১৫০টি স্টলে হাজির হয়েছে চট্টগ্রাম বইমেলায়। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ভালোবাসা, কারাগারের জীবন, সামাজিক রীতিনীতিসহ বিচিত্র বিষয় নিয়ে লেখা বই নিয়ে হাজির হচ্ছেন লেখকরা। অনুবাদ বই ও উপন্যাসে এবারের মেলায় পাঠক আগ্রহ বেশি। সব প্রকাশনীর বই একসাথে পেয়ে খুশি পাঠকরাও।

নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠের বইমেলায় ঘুরে দেখা যায়, আগ্রহী দর্শনার্থী ও পাঠকরা প্রথমা প্রকাশন, বাতিঘর পাবলিকেশন, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, কথাপ্রকাশসহ বেশ কিছু প্রকাশনীর স্টলে পাঠকদের ভিড়। অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের অনুবাদ বই কিনতেও দেখা যায় ক্রেতা ভিড়। অক্ষরবৃত্তের অনুবাদ বই যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি সমান তালে বিক্রি হচ্ছে ঝিলমিলের শিশুতোষ বই।

১০ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে মেলায় এসেছেন সুবর্ণা রানী নামের এক মহিলা। তিনি বলেন, ছেলের গল্পের বইয়ের প্রতি খুব আগ্রহ। তার জন্য শিশুতোষ গল্পের বই কিনেছি। একটা স্টলে সুবণা চক্রবর্তী নামের এক লেখিকার শিশুতোষ ছড়ার বই ‘শিয়াল মামার বিয়ে’ দেখতে পেয়ে নামে মিল থাকায় আগ্রহ নিয়ে বইটা দেখি। ছড়াগুলো আমার পছন্দ হয়। তাই ‘শিয়াল মামার বিয়ে’ ছড়ার বইটাও কিনেছি। মেলায় অনেক মানুষের সাথে দেখা হলো। এটা ভালো লাগছে।

মেলায় বন্ধুদের সাথে নিয়ে ঘুরতে এসেছে তানভীর হোসেন নামে এক যুবক। সে জানায়, আজকে প্রথম মেলায় আসলাম। এতোদিন আসবো আসবো করে আসা হয়েনি। বন্ধুদের নিয়ে আজ চলে এলাম। এখনো কোন বই কিনিনি। পছন্দ হলে দুএকটা বই কিনব।

‘হনন’ উপন্যাসের লেখক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, শেষ মুহূর্তে বইমেলা জমে উঠেছে। বিকেল থেকেই মেলায় মানুষের ভিড়। পাঠক ও দর্শনার্থী বাড়ায় বেড়েছে বইয়ের কাটতিও।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের এই বই মেলা চলবে আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।