চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত কিশোরী কুমিল্লায় উদ্ধার

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ে ৩ মাস আগে অপহৃত হওয়া এক কিশোরীকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭। এ সময় অপহরণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় কুমিল্লার কোতোয়ালীর দৌলতপুর এলাকার একটি বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার এলাকার হায়দারাবাদ গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মনির হোসেন (৩৫), সকিনা আক্তার ওরফে ফারজানা (৩০) ও শিমুল আক্তার (৪০)।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ভিকটিম কিশোরী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বাবা মারা যাওয়ার পর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। মনির হোসেন তার মায়ের ভাগিনা হয়। সে সুবাধে প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে তার যাওয়া-আসা ছিল। গত কয়েক মাস আগে মনির হোসেন তার আগের তিনটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মায়ের কাছে।

ভিকটিমের মা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এবং তার মেয়ের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ কিংবা উত্ত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করে। এতে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে যেকোন সময় তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।

র‌্যাব সূত্র আরও জানা যায়, গত ২২ জুলাই দুপুরে ভিকটিম বাসা থেকে বের হলে মনি পূর্বপরিকল্পিভাবে ভিকটিমকে অপহরণ করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় না ফিরলে মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ওইদিন রাতে ডবলমুরিং থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে।

পরে ভিকটিমের মা তার বোনের কাছ থেকে জানতে পারে মনির হোসেন তার সহযোগী রাকিবের সহায়তায় তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় তিনি ২৮ জুলাই ডবলমুরিং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, অপহরণের বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার কুমিল্লার দৌলতপুরে একটি বাসা থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অপহরণের সাথে জড়িত মনির হোসেনকে তার দুই নারী সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৫২ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।