চট্টগ্রাম থেকে এবার হজে যাবেন ১০ হাজার

পবিত্র হজ পালন করতে এবার চট্টগ্রাম জেলা থেকে ১০ হাজার জন সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবেন। যা বিগত বছরের তুলনায় ২ হাজার বেশি। গত বছর ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার জন। যদিও এবছর ১২ হাজার জন যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে হজ করার আশা করেছিল হজ এজেন্সিগুলো। কিন্তু হজের খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় ৮ দফা সময় বাড়ানোর পরও সেই আশা পূরণ হয়নি।

চলতি বছর হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন ঢাকা জেলায়, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সবচেয়ে কম মাত্র দুজন যাবেন বান্দরবান জেলা থেকে।

জানা গেছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হতে পারে ২৮ মে। ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি সৌদি আরবভিত্তিক সৌদি এয়ারলাইনস হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার যাত্রীকে শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমান পরিবহন করবে। বিদেশি কোনো বিমান সংস্থা চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ থেকে এবার মোট ১ লাখ ২৭ হাজার হজ পালন করার কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু নয় দফা সময় বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রার পুরোটা অর্জিত হয়নি। এখন বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হজে যাবেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৫৫ হাজার ৯ জন যাত্রী হজে যাবেন ঢাকা জেলা থেকে আর সবচেয়ে কম মাত্র দুজন যাবেন বান্দরবান জেলা থেকে। জেলাভিত্তিক হজ যাত্রী নিবন্ধনের তালিকায় চট্টগ্রাম আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, নয়দফা সময় বাড়ানোর কারণে চট্টগ্রামে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা আশা করেছিলাম ১২ হাজার জন নিবন্ধন হবে, কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেটি হয়নি। এরপরও নিবন্ধন সংখ্যা সন্তোষজনক।

বাংলাদেশ বিমান বলছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ২০টি ফ্লাইটে হজ যাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। আগামী ২২ মে থেকে শুরু হচ্ছে এই হজ ফ্লাইট। এরমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা রুটে চলবে ১৪টি ফ্লাইট; চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে চলবে ৬টি ফ্লাইট। এরমধ্য দিয়ে এবারো জেদ্দা ও মদিনা রুটে সরাসরি যাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন চট্টগ্রামের হজ যাত্রীরা।

জানা গেছে, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট ছিল ৯টি; আর চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ফ্লাইট ছিল ২টি অর্থাৎ মোট ফ্লাইট ছিল ১১টি। এ বছর ফ্লাইট চলবে মোট ২০টি। সে হিসেবে চট্টগ্রাম থেকেই ৯টি ফ্লাইট বেশি চলবে।

বাংলাদেশ বিমান আরও জানিয়েছে, চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে। হজ শুরুর আগে ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।