চট্টগ্রাম বন্দরের ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়’ প্রত্যেক গেইটে বসবে স্ক্যানার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় প্রত্যেক গেইটে আমদানি-রফতানির জন্য স্ক্যানার বসানো হবে।

রোববার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যাতে স্ক্যানার বসানো না হয়, এখানে যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া না লাগে — সেজন্য সংঘবদ্ধ চক্র জোরালো ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের ডিজিটাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যা যা করণীয় তা করা হবে। শুধু চট্গ্রাম বন্দর নয়, মোংলা বন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি অনুসারে তাদের দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মালামাল যেতে পারবে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের জাহাজের ট্রায়াল রান হয়েছে। আরো ট্রায়াল হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো আপগ্রেড করা হচ্ছে — এমন বিষয় নজরে এনে খালিদ মাহমুদ বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। জাহাজ বাড়ার চাপ সামাল দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এস আরও হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভারতীয় জাহাজ আসা শুরু করবে।

ভারতের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে পণ্য ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পাঠানোর প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি। আমরা সবসময় মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতি হলো —‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব’। সে অনুযায়ি আমরা মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো. মাহবুবুর রহমান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।