চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ— এবার চোরাচালান আইনে বিচার শুরু

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় এবার চোরাচালান আইনের ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞার আদলত শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এই আদেশে মাদক আইনের পর চোরাচালান আইন বিচার শুরু হলো।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোকেন জব্দের ঘটনায় মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে চোরাচালান আইনে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় মাদক আইনের বিচার আগেই শুরু হয়েছে। সেটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

কোকেন পাচারের ঘটনা অভিযুক্ত ১০ আসামি হলেন খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ, মোস্তফা কামাল, কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপাক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একেএম আজাদ রহমান, সিএন্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদের ভাই খান জাহান আলী লিমিটেডের পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়েছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) কোকেন শনাক্ত হয়।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ওই বছরের ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

কোকেন জব্দের ঘটনায় সিএমপির বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন নূর মোহাম্মদ ও গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত নির্দেশে চোরাচালানের ধারা সংযোজন করা হয়।

এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।