চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে ঋতুরাজ বসন্তকে। বসন্তের আগমন উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এ উৎসবের আয়োজন করে সুচেতনা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংঘ। উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন পাহাড় হাইকিং, বাসন্তী আড্ডা ও বারবিকিউ’র আয়োজন করে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে শুরু হয় হাইকিং পর্ব। মোট দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয় হাইকিং কর্মসূচি। বোটানিক্যাল গার্ডেন হয়ে পাম বাগান প্রদক্ষিণের পর কলা অনুষদের ঝর্ণা সংলগ্ন পাহাড় চড়ার মধ্য দিয়েই শুরু হয় মূল হাইকিং ধাপ। এ সময় ঝর্ণা সংলগ্ন পাহাড় থেকে শুরু করে পাহাড়ি পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এসে শেষ হয় হাইকিং এর প্রথম পর্ব। এরপর বঙ্গবন্ধু হলের পেছনের পাহাড় থেকে শুরু হয়ে একইভাবে পাহাড়ি পথ বেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসে শেষ হয় হাইকিং-এর দ্বিতীয় ধাপ। এরপর সক্রেটিস চত্বরে বাসন্তী আড্ডা ও বারবিকিউ উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।
এদিকে এমন একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের অংশ হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা।
সংগঠনের সদস্য নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী পূর্বাশা আচার্য্য বলেন, পহেলা ফাল্গুনে অনেকেই অনেক ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। কিন্তু হাইকিং এর মতো এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন সচরাচর দেখা যায় না। এরকম ব্যতিক্রমী একটি আয়োজনের অংশ হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এরকম ব্যতিক্রমী আয়োজনগুলো তারুণের শক্তিকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করি।
এ বিষয়ে সংগঠনটির পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাখন চন্দ্র রায় বলেন, পহেলা ফাল্গুন শীতের আড়ষ্টতা ভেঙে বাসন্তী আমেজে উজ্জীবনের দিন। এরকম একটি সুন্দর দিনে তারুণ্যের উচ্ছাসপূর্ণ ক্যাম্পাস পরিভ্রমণ এবং সাংস্কৃতিক আড্ডার মধ্য দিয়ে দিনটি উৎযাপন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এরকম সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে তারুণ্যের শক্তি একটি উৎকর্ষময় জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
এসএম/এফএম
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।