চবিতে হল ভাংচুরে জড়িত ২০ ছাত্রলীগ কর্মী শনাক্ত, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়া ১৫-২০ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হওয়ার পাশাপাশি হলের অনেকগুলো কক্ষ ভাংচুর করা হয়েছে। শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করেছে প্রশাসন।

প্রাথমিকভাবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫-২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জড়িত আরও অনেকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের দেয়ালজুড়ে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ গ্রুপ বিজয়ের অনুসারীরা চিকা মারেন প্রায় এক বছর আগে।
এদিকে এ এফ রহমান হলে বিজয় গ্রুপের পর আধিপত্য জানান দিতে অপর এক উপগ্রুপ ভিএক্স গত বৃহস্পতিবার চিকা মারতে শুরু করলে বিজয়গ্রুপের অনুসারীরা ভিএক্সের চিকা মুছে দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ ঘটনার জের ধরে গত শুক্রবার রাতে বিজয় ও ভিএক্সের অনুসারীদের মধ্যে ৪ ঘঘন্টাব্যাপী বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলে। এতে অন্তত ২৩ জন আহত হন এবং হলের প্রায়ই অর্ধশতাধিক কক্ষ ভাংচুর করা হয়

এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে চবির এএফ রহমান হলের প্রায় অর্ধশতাধিক রুম ভাংচুর এবং কিছু রুমের মালামাল লুটপাট করা হয়। ঘটনাস্থলে থাকা একজন সহকারী প্রক্টর ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের অনুসারীরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।