চবিতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী হল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ।

এ সময় সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সোহরাওয়ার্দীর জন্ম। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল তার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি। তাই তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যা দেয়া হয়। ১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মারা যান।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন, ভারত পাকিস্তান ভাগের অত্যন্ত কঠিন সময়ে বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। বঙ্গবন্ধুর গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠা এবং আপামর বাঙালির মুক্তির কাণ্ডারি হয়ে ওঠার পেছনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বাঙালি আজীবন তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আবুল বাশার, নাজেমুল আলম, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মনির আহমদ, সেকশন অফিসার আবু বক্কর।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।