চবির আইইআরে অনুষ্ঠিত হল বসন্ত উৎসব

‘লাগলো হাওয়া এই মনে, যাই বসন্ত পার্বণ ‘ এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে উদযাপিত হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব।

রোববার (১৩ মার্চ) সকাল ১১ টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. গোলাম মহিউদ্দিন। এসময় ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের রিক্সায় করে তুমুল করতালির মাধ্যমে উৎসবে প্রবেশ চিরায়ত বাঙালিয়ানা আমেজ তৈরি করে। এরপর পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফাল্গুনী গান, ক্লাসিক্যাল ও উপজাতীয় নাচের তালে মঞ্চ মাতান ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ছিলো আবৃত্তি, নজরুলগীতি, রবিন্দ্র সংগীত, মূকাভিনয়সহ নানা আয়োজন।

চবির আইইআরে অনুষ্ঠিত হল বসন্ত উৎসব 1

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো বিভিন্ন পিঠার স্টল। ‘আলপলনি’, ‘উৎসবের রঙ্গে, পিঠার সঙ্গ ‘, ‘তৃনিশ’, ‘পিঠার খোঁজে নবোত্তমে’ ইত্যাদি বাহারি নাম ছিলো স্টলের। স্টলে স্টলে সাজানো ছিলো বিভিন্ন রকমের শতাধিক পিঠা।
পিঠার মধ্যে ডিমসুন্দরী, চিকেন পুরি, পোয়া, সুজি রসবড়া, ব্যাঙ পিঠা, পাটিসাপটা, পোয়া, মুগপাকন, খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা, কাবাব, নারিকেলের নাড়ু, মাংসপুলি, কাঁঠাল খিলি পিঠা, শাহী মলাই, ফুলঝুরি, ডালপাকন, পাকুড়া, চকোলেট পুডিং ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

পিঠা স্টলের বিক্রেতা আইইয়ারের শিক্ষার্থী সাদিয়া মুবাশশিরা বলেন, আমরা ২৫ আইটেমের পিঠার আয়োজন করি। উৎসব শুরু হতেই অর্ধেক পিঠার বিক্রি শেষ। বিক্রিও করছি, উদযাপনও করছি।

এদিকে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষকদের বালিশ খেলা। ইন্সটিটিউটের পরিচালকসহ সকল শিক্ষক এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও উৎসবে ছিল চিত্র প্রদর্শনী। ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের হাতে তোলা অসংখ্য জীবন্ত চিত্র এখানে প্রদর্শিত হয়।

উৎসবে আগত দর্শকদের জন্য ছিল মার্বেল খেলার ব্যবস্থা করে আয়োজকরা।

উৎসবে আগত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জাফর আহসান বলেন, খুব বেশি উপভোগ করছি। আইইয়ার উৎসব আয়োজনের দিক থেকে সবসময়ই ব্যাতিক্রম। চিরায়ত বসন্ত উৎসবের বাইরে তাদের আয়োজন দর্শকদের আকৃষ্ট করছে। অনেকগুলো পিঠা খেয়েছি। পাশাপাশি ফটো গ্যালারিতে ছবি তুলে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি।

জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী রাইমা তাবাসসুম বলেন, সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো খুবই চমৎকার লাগছে। বিশেষ করে উপজাতীয় নাচগুলো উপভোগ করেছি। আর আইইয়ারের শিক্ষার্থীদের আতিথিয়েতাও চমৎকার। আমার মনে হচ্ছে নিজের অনুষদেই অনুষ্ঠান উপভোগ করছি।

পুরো আয়োজনটির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. গোলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজন আমাদের আনন্দিত করে। বাঙ্গালী সংস্কৃতি প্রেমী জাতি। সংস্কৃতি আমাদের প্রাণ। এখানে এসে আমি আমার ছেলেবেলায় হারিয়ে যাচ্ছি। তোমাদের প্রাণবন্ত আয়োজন সাফল্যমণ্ডিত হোক। এমন সৃজনশীল কাজের সাথে আমরা সবসময়ই আছি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।