চবির ‘ডি’ ইউনিটে প্রথম মারুফ পড়বেন ঢাবির হিসাববিজ্ঞানে

শাররিয়ার কাউছার মারুফ। চট্টগ্রামের নাজিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এস এম কাউছারের ছেলে। মেধার স্বাক্ষর দিয়ে বাবা যেমন নাজিরহাট কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন ছেলেও মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে একে একে ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করেছেন। হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম।

এছাড়া চবির ‘সি’ ইউনিটে ৭৭তম ও ‘বি’ ইউনিটেও ১৫৫তম হয়েছেন মারুফ। শুধু চবিতে নয় মারুফ সফলতা পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২১৬তম ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৯তম হয়েছিলেন। আর তার স্বপ্ন এখন ঢাবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগে পড়া।

জানা গেছে, নাজিরহাট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও নাজিরহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মারুফ। মেধাবী এই ছাত্র মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এই দুই পরীক্ষার জিপিএর নম্বর মিলে ২০ এবং চবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬ দশমিক ২৫ নাম্বার পেয়ে সর্বমোট ৯৬ দশমিক ২৫ নাম্বার পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি।

মারুফ চট্টগ্রাম খবরকে জানিয়েছেন তার সফলতা ও স্বপ্নের কথা। তার এই সফলতার পেছনে মা শিরিণ আখতার শিল্পী এবং বাবা এস এম কাউছার ছিলেন সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

চবির ‘ডি’ ইউনিটে প্রথম শাররিয়ার কাউছার মারুফ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমার সফলতার পেছনে সবচাইতে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন আমার মা ও বাবা। আমি ঢাবি ও চবি মিলিয়ে মোট ৫টি ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছি। সবগুলোতেই ভালো ফলাফল করেছি। আমি চাই ঢাবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগে পড়তে।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, একদম শেষ পরীক্ষাতে এসে আমি প্রথম হয়েছি। সবারই ইচ্ছা থাকে প্রথম হওয়ার, আমারও ছিল। আমি আমার মা-বাবাকে এই রেজাল্ট উপহার দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি। যারা আমার পেছনে শ্রম দিয়েছেন আমি সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমি ভবিষ্যতেও ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।

এইদিকে সন্তানের এমন ফলাফলে খুশি মারুফের বাবা-মাও। তারা বলেন, মারুফ অনেক পরিশ্রম করেছে আর তার ফলাফলও পেয়েছে। আমাদের চাওয়া ছেলে বড় হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করুক। আর এর জন্য সকলের নিকট দোয়াও চেয়েছেন মারুফের বাবা-মা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।