চবি ভর্তি পরীক্ষা—স্বপ্ন পূরণের যুদ্ধে বাধা হতে পারেনি বৃষ্টি

সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। কখনো হালকা কখনো ভারি। কিন্তু এর মধ্যেও দমে যাননি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের জমিয়ে রাখা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সামান্য বৃষ্টিতো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা। তাইতো কাক ভেজা হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কারো কারো মাথায় ছাতা থাকলেও অধিকাংশই ছিল ছাতাবিহীন। তারা পরীক্ষার দরকারী কাগজপত্র ও জিনিসপত্র বহনকারী ফাইলটাকেই বৃষ্টি থেকে বাঁচার ঢাল হিসবে ব্যবহার করে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। চোখেমুখে তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখলের তীব্র বাসনা। আবার কেউ কেউ একেবারে খালি হাতেই ভিজতে ভিজতে দৌঁড়াচ্ছেন পরীক্ষার হলের উদ্দেশ্যে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) চবির ২০২২-২৩ সেশনের ‘বি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তির প্রথম দুই শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ক্যাম্পাসে দেখা গেছে এমন চিত্র। বৃষ্টি কোনোভাবেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি।

ঝিনাইদহ থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শামীম হাওলাদার বলেন, আমার সকালের শিফটে পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। অপেক্ষা করতেছিলাম বৃষ্টি থামার। কিন্তু বৃষ্টি থামার নাম গন্ধ ছিলনা। এদিকে পরীক্ষার সময় নিকটে চলে এসেছে। তাই আর কোনো চিন্তা না করে ভিজতে ভিজতেই পরীক্ষার হলের দিকে দৌঁড় দিয়েছি। ভেজা গায়েই পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা ভাল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ভেজা শরীর আমার পরীক্ষার কোনো প্রভাব ফেলতে পারিনি।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে আগত নওরিন জাহান বলেন, আমি আমার মায়ের সাথে আগেরদিনই চট্টগ্রাম শহরে চলে আসি। আসার সময় বৃষ্টি না থাকায় ছাতা নেয়া হয়নি। একদম সকালে শাটল ট্রেনে করে চবি ক্যাম্পাসে চলে আসি। ক্যাম্পাসে আসার পর পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। এদিকে পরীক্ষার সময় নিকটে আসায় আমি আর আমার মা ভিজতে ভিজতে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে রওনা দিই। ভেজা গায়েই আমি পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা শেষ করে বের হওয়ার পর দেখি তখনও বৃষ্টি হচ্ছে। হল থেকে বের হয়ে আবারো ভিজতে ভিজতেই ট্রেন স্টেশনে চলে আসি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।