চসিক প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীর উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি ঘটনার তিন সপ্তাহ পর তিন পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে জমা দেন।

তদন্ত কমিটির দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত হিসেবে ১১ ঠিকাদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে চিহ্নিত ১১ ঠিকাদার হলেন— মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন (মেসার্স মাহমুদা বিল্ডার্স ও মেসার্স এস জে ট্রেডার্স), সঞ্জয় ভৌমিক (মেসার্স বাংলাদেশ ট্রেডার্স), মোহাম্মদ ফেরদৌস (মেসার্স মাসুদ এন্টারপ্রাইজ), সুভাষ মজুমদার (মেসার্স জয় ট্রেডার্স), মো. হাবিব উল্লাহ খান (মেসার্স খান কর্পোরেশন), মো. নাজিম উদ্দিন (মেসার্স নাজিম এন্ড ব্রাদার্স), মো. নাজমুল হোসেন ফিরোজ (মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ), মো. ইউসুফ (মেসার্স ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্স), আশীষ কুমার দে ও হ্যাপী দে (মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ) এবং মো. আলমগীর (মেসার্স তানজিল এন্টারপ্রাইজ)।

মেয়র রেজাউল করিম বলেন, “যেসব ঠিকাদারকে হামলা ও ভাংচুরের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের ইতিমধ্যে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। মামলাও করেছি। সেই মামলায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।”

প্রসঙ্গত, আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গত বছরের ৪ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গত বছরের ১৪ অগাস্ট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকল্পটির দরপত্র মূল্যায়ন শেষে এটির ঠিকাদার নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই গত ২৯ জানুয়ারী চসিকের প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলা ও অফিসে ভাংচুর চালায় ১৫ থেকে ২০ জন ঠিকাদার।

এ ঘটনার পরদিনই সিসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন আইন কর্মকর্তা মনীষা মহাজন ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।