‘চাঁটগাঁইয়া গরু পাগলা’রা মেতেছে ঐতিহ্যের গরু মিছিলের আনন্দে

রাত পোহালেই দেশে উদযাপন হবে ঈদুল আযহা। ঈদে কুরবানের জন্য চট্টগ্রামে প্রস্তুত নয় লক্ষাধিক গরু। ইতিহাস গবেষকরা বলছেন গরু নিয়ে মিছিল করা, র‌্যালি করা চট্টগ্রামের একটা ঐতিহ্য।

ঈদের আগের দিন শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরের পর থেকে নগরীর জামালখান, কাজির দেউড়ি, মাদারবাড়ি, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে গরু নিয়ে রাস্তায় নামে স্থানীয় কিশোর-যুবকরা।

‘চাঁটগাঁইয়া গরু পাগলা’, ‘পশ্চিম মাদারবাড়ি গরু পাগলা’ ‘বেটারি গলির গরু পাগলা’ ‘ওভাই গরু হত অইয়্যে?’ এরকম লিখা লিখে স্থানীয় যুবকরা র‌্যালির জন্য রঙ-বেরঙের জার্সিও প্রস্তুত করে।

মাদারবাড়ির গরু পাগলারা কদমতলী হয়ে চৌমুহনী মোড় ঘুরে আগ্রাবাদ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। এসময় গরুর সাথে সেল্ফি, নিজেদের বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গিতে ছবি তুলে আনন্দে মেতে ওঠে সবাই।

‘চাঁটগাঁইয়া গরু পাগলা’রা মেতেছে ঐতিহ্যের গরু মিছিলের আনন্দে 1

কাজির দেউড়ি, বেটারিগলি, এনায়েত বাজার থেকে র‌্যালি নিয়ে সবাই সিআরবিতে মিলিত হয়। জামালখান, মোমিনরোড হয়ে একটি র‌্যালি আন্দরকিল্লার দিকে যেতে দেখা গেছে।

দেশের প্রবীণ সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক মোহাম্মদ শামসুল হক চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, স্বাধীনতার আগে এদেশের মানুষের মাংস খাওয়ার সামর্থ তেমন ছিল না। কুরবানের ঈদ, বিয়ে আর মেজবানে সবাই মাংসের স্বাদ পেতো। তাই ঈদ এলে ধনী-গরীব সবাই মাংস খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠতো। কাল ঈদ, এমন আনন্দের সময়ে গরু নিয়ে মিছিল-র‌্যালি করতো। এটি স্বাধীনতার আগেও ছিল, পরেও ছিল, এখনও আছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদ একটি ধর্মীয় পবিত্র বিষয় যা সবাইকে ছুঁয়ে যায়। আর এখন আমাদের সামর্থ বেড়েছে। নিয়মিতই আমরা মাংস খেতে পারি। মাংস খাওয়ার আনন্দের চেয়ে ছোট ছোট ছেলেরা যারা র‌্যালি করছে তাদেরকে নির্মল আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে। র‌্যালি, মিছিল তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।