চার দফা জানাযা শেষে সমাহিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও চারদফা জানাযা শেষে বাঁশখালীতে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জানাযায় সরকারী দল আওয়ামী লীগ, তাঁর নিজের দল বিএনপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জানাযায় অংশ নেন।

প্রথম দফা নামাজে জানাযা নগরীর পাথরঘাটা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে, দ্বিতীয় জানাযা নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানের জানাযায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, পতেঙ্গার সাংসদ এম এ লতিফ, চন্দনাইশের সাংসদ মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চসিকের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিনসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাযায় অংশ নেন।

পরে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বিএনপির প্রবীণ এই নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। নগরে দুই দফা জানাযা শেষে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশখালীর জলদী হাইস্কুল মাঠে। সেখানে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় জানাযা এবং বিকেল ৩টায় বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাযা শেষে তাঁর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

১৯৯৬-৯৭ সালে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়া জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাঁশখালী আসন থেকে ১৯৯৬ সাথে প্রথম সাংসদও নির্বাচিত হন। সেই থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের জুনে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হন। ২০১০ সালে তিনি দক্ষিণ জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পান। সর্বশেষ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থাকলেও তিনি আবারও সভাপতি হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ৭৩ বছর বয়সে চট্টগ্রাম নগরীর এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য রাজনৈতিক অনুসারী এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।