চুরির মাল খুঁজতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নারী, র‌্যাবের কব্জায় আরও একজন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চুরি হয়ে যাওয়া মালামালের খোঁজ করতে গিয়ে রেল লাইনের ঝুপড়ি ঘরে দুই সন্তানের এক জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অন্যতম প্রধান আসামি মো. দেলোয়ার হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে একে একে মিলেছে আরও ১০ মামলার হদিস। গণধর্ষণ, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মারামারি, চুরি ও সরকারি কাজে বাধাদানসহ রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক থাকলেও দীর্ঘ প্রায় ২ মাস পরে তাকে ধরলো র‌্যাব।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেলোয়ার হোসেন বারবকুণ্ড গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানায় হাশেমনগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। পুলিশের হাতে আটক হয়ে স্বামী জেলে থাকায় নিজের বাবার বাড়ি চলে যান দুই সন্তানের এই জননী। এই ফাঁকে গত ২৮ জুলাই দুস্কৃতিকারীরা তাদের ঘরে ঢুকে লুটে নেয় মূল্যবান মালামাল।

আর এই মালামাল উদ্ধারে দিশেহারা হয়ে ভাগিনা ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে মধ্যরাতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে তারা বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ভাগিনা ও ভাইপোকে মারধর করে রেল লাইনের একটি ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

এসময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার আগে তাদের তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বড়ভাই ঘটনাটি জেনে তাকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ঘটনায় পরেরদিন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে গত ৩০ জুলাই রাতে মামলার প্রধান আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন ও ৩ নম্বর আসামি মো. জাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। অবশেষে মামলার দ্বিতীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকায় অবস্থান করার তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।