চোরচক্রের উৎপাত, আতংকে এলাকাবাসী

রাঙামাটির লংগদুতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরচক্র। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন এলাকায় গরু ও বাড়ির মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আকস্মিকভাবে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকে রয়েছে এলাকাবাসীরা।

সম্প্রতি উপজেলার কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নের ১নম্বর দক্ষিণ রহমতপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গরু ও গৃহস্থালি মালামাল চুরি হয়েছে। ওই এলাকার আরেকটি বাড়ি থেকে গরু বের করার সময় বাড়ির মালিক টের পাওয়ায় গরু দুটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় চোর। পার্শ্ববর্তী মাইনীমূখ ইউনিয়নের আলতাফ মার্কেট এলাকায় একই ঘটনা ঘটেছে।

এ নিয়ে উপজেলার মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি রাতে উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় চুরি বাড়ার ফলে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী মো. আসাদ আলী জানান, গত রবিবার দিবাগত রাতে আমার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা মূল্যের একটি গরু রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র।

আলতাফ মার্কেট এলাকার মো. লুৎফর জানান, কিছুদিন আগে আমার একটি গরু নিয়ে যায় চোর। গরুটির মূল্য লক্ষ টাকার মতো।

স্থানীয় মাসুম ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- চোর চক্রের সদস্যরা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখে এবং সন্ধ্যার পর থেকেই ওৎ পেতে থাকে। রাত গভীর হলেই অল্প সময়ের মধ্যে সুযোগ বুঝে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বারেক দেওয়ানের সাথে। তিনি বলেন, অত্র ইউনিয়নে শুধু চুরি নয় মাদক ব্যবসাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ইউনিয়নে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন জানান, এ এলাকায় চুরির উপদ্রব বেড়ে গেছে। চোর এবং মালামাল উদ্ধারে তৎপর রয়েছে পুলিশ। শিগগিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, উপজেলার সর্বত্রই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উৎসব অ্যামেজ সামনে রেখে চোর চক্রের অপতৎপরতার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। গৃহস্থালির মালামাল থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদিও চুরি করছে এই চোর চক্র।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।