চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দিয়েছেন আদালত। দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। আদালত আগামী ৩০ অক্টোবর সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে এই আদেশ দেন বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী। একই আদালত এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবার চার্জ গঠন পিছিয়ে আজকে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।
অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সোমবার (৩ অক্টোবর) সুদীপ্ত হত্যা মামলার চার্জ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। চার্জ গঠনের আবেদন করে আদালতে চার্জ গঠনের পক্ষে শুনানি করা হয়। আসামিদের ডিসচার্জ পিটিশান ছিল। মাননীয় আদালত তা নামঞ্জুর করে ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর সাক্ষীর জন্য দিনও ধার্য করেন আদালত। এছাড়া চার্জ গঠনের সময় ২৪ জন আসামি মধ্যে ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত আবু জিহাদ সিদ্দিক নামে এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রথমবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। সেদিন আসামিরা সময়ের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে আদালত ২২ মার্চ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে তারিখ ২৪ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। গত ২০ জুন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সময় চেয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। ওই দিনও সময় পিছিয়ে ১৮ জুলাই নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন পিছিয়ে ৩ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরের সদরঘাট থানাধীন দক্ষিণ নালাপাড়ায় নিজ বাসার সামনে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ওরফে মাসুমকে হত্যার নির্দেশদাতা ও আইনুল কাদেরকে নেতৃত্বদানকারী বলে উল্লেখ করা হলেও দিদারুল আলম মাসুম শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন।
তবে, এই হত্যাকাণ্ডে পিবিআই তার সম্পৃক্তা পাওয়ার পর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। বাতিল হয়েছে তার নামে থাকা দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।