জব্বারের বলী খেলা পৌঁছালো ঢাকায়!

চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে প্রতিবছরের ১২ বৈশাখে অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলী খেলা। ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এই প্রতিযোগিতা জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। বন্দর নগরীর ঐতিহ্যবাহী এ খেলা এবার পৌঁছে গেছে রাজধানী ঢাকায়। এতে চট্টগ্রামের চকোরিয়ার জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

শনিবার ( ২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শারিরীক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার বাষিক মেলা ও মেজবানে ছিলো জব্বরের বলী খেলাও। যার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যগুলো নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন এবং সে জন্যই জন্যই ঢাকায় জব্বারের বলী খেলা আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রামে বলী খেলা চালু করেন। তখন থেকে এই জব্বারের বলী খেলা চট্টগ্রামের ইতিহাসের অংশ হিসেবে প্রসিদ্ধ। ”

মন্ত্রীর গত বছরের অনুরোধে এবার মেজবানের পাশাপাশি বলী খেলা আয়োজনের জন্য সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনারা এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে ঢাকায় আরো পারিচিত করেছেন। আমি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বলীদেরও ধন্যবাদ জানাই। ”

মন্ত্রী বলেন, “মেজবানের মতো বলী খেলাও চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ। ভবিষ্যতে বড় জায়গা পেলে আমরা গরুর লড়াইও আয়োজন করবো।”

চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় তার মেজবানপ্রীতি তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আঁই সারা বছর মেজবানর লাই অপেক্ষা গরি। আজিয়া তেমন কিছু ন’ খাই। চাটগাঁয় বঙ্গবন্ধু টানেলর ভৌতকর্ম সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষর নাশতাও ন’ খাই এই মেজবানর লাই।”

চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার সভাপতি জয়নুল আবেদীন জামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন হিরোর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

এর আগে, এদিন সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল উপায়ে প্রধানমন্ত্রীর যোগদানের সময় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় উপস্থিত ছিলেন ড. হাছান। দুপুরে বিমানযোগে ঢাকা ফিরে নিজ জেলার সমিতির অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।