জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে পারলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তবে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটার পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কঠোর নিয়মানুবর্তিতা ও জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে পারলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস দীর্ঘদিন কোন লক্ষণ ছাড়াই নীরবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতি করতে থাকে এবং স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি বিকল ও অন্ধত্বসহ অন্যান্য জঠিল রোগ সৃষ্টি করে যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। যাদের এখনো ডায়াবেটিস সনাক্ত হয়নি কিন্তু ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর ডিসি হিল সংলগ্ন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধে বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত জনসচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের আয়োজনে ও আদ্রিতা ভিজ্যুয়ালস লিমিটেডের সহযোগিতায় প্রতিদিন সকালে ডিসি হিলে হাঁটতে আসা নারী-পুরুষদের নিয়ে প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকের হাতে টি-শার্ট ও সকালের নাস্তা তুলে দেন প্রধান অতিথি।

সিভিল সার্জন বলেন, ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে হলে খাদ্যাভাস পরিবর্তন জরুরী। এক্ষেত্রে ত্রি-ডি যেমন-ডিসিপ্লিন, ডায়েট কন্ট্রোল ও নিয়মিত ড্রাগ গ্রহণ করতে হবে। খাবারে ফলমূল, শাকসব্জি ও সালাদ গ্রহল করতে হবে। পরিমিত খারার গ্রহণ, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ বর্জন, ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণ ত্যাগ, পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান, ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় বর্জন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পাশাপাশি ও শরীর চর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াই নু মং মার্মার সভাপতিত্বে ও স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর সংঘরাজ ভিক্ষু পরিষদের চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক জয়জ্যোতি থের, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, সংস্কৃতিকর্মী সজল দাশ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মাসুদুল আলম, হেলথ এডুকেটর প্রবীর মিত্র, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হেলথ এডুকেটর সম্পদ দে, আদ্রিতা ভিজ্যুয়ালস লিমিটেডের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, পার্থ সিংহ, বর্ণমালা কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ওয়ার্কশপ অর্গানাইজার মোঃ শহীদুল হক, মোঃ মেহেদী হাসান, বেসরকারী ম্যাক্স হাসপাতালের জি.এম রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত, ব্যবসায়ী শম্ভু চৌধুরী, নিহার রঞ্জন রায় সুজন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সীমা পাল। তবলায় সহযোগিতা করেন টিভি-বেতার শিল্পী সুরজিত সেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।