‘জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে আমাদের বইয়ের ভুবনে প্রবেশ করতে হবে’

জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হলে আমাদের বইয়ের ভুবনে প্রবেশ করতে হবে। বই না পড়লে জ্ঞান থেমে যাবে। তাই জ্ঞানকে বৃদ্ধি করতে হলে বই পড়তে হবে। একমাত্র বই’ই পারে জ্ঞানের উন্মেষ ঘটাতে। তাই জানার জন্য, নিজেকে সমৃদ্ধ করা জন্য বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ মালেক। শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শৈলী প্রকাশন আয়োজিত দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য পাঠক উৎসবে উদ্বোধকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

‘বই পারে বদলাতে সব মনোভঙ্গি-সকলের কাছে বই তাই প্রিয় সঙ্গী’ এই স্লোগানে শনিবার দিনব্যাপী শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত এবং বই পাঠের দীপ্ত অঙ্গীকারে শৈলী প্রকাশনের এ পাঠক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে ও শৈলী প্রকাশনের প্রকাশক বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চলনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভারসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন শৈলী প্রকাশনের উপদেষ্টা শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. অনুপম সেন বলেন, বই হলো সভ্যতা। প্রকৃত সভ্যতা শুরু হয়েছে বই দিয়ে। মানুষ সভ্য হয়েছে বই পাঠ দিয়ে। একটা লাইব্রেরি হলো মহামানবের মতো। নিসঙ্গতা দূর করতে পারে বই। যখন একজন পাঠক লাইব্রেরিতে থাকেন তখন তিনি নিজেকে মহামানবের সঙ্গে আছেন ভাবতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, পাঠক যদি না থাকে তাহলে গ্রন্থাগারের কোন মানে নেই। পাঠক না হলে লেখকও হওয়া যাবে না। তাই আগে পাঠক হতে হবে। জীবনে মানুষ অনেক হতাশায় নিমজ্জিত হয়। এই করুণ সময়ে মানুষ বইয়ের মধ্যদিয়ে সান্তনা খুঁজে পায়।

উদ্বোধনী পর্বের পর ‘কেমন বই চাই’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, পটিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রনজিৎ কুমার দত্ত, বাকলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন খান।

এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যক্ষ ছন্দা চক্রবর্তী, অধ্যাপক ববি বড়–য়া, স্লোগান নিউজ ডটকম এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এটিএম শহীদুল্লাহ শহীদ, স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, এস. লোকজিৎ মহাথেরো।

বইয়ের পাঠক কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশশিরা, আলোচনায় অংশ নেন প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি শুকলাল দাশ, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী।

এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় পাঠকের মুখোমখি হন প্রখ্যাত সাহিত্যিক, শব্দঘর সম্পাদক, বাংলা একাডেমির ফেলো ডা. মোহিত কামাল। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। আমাদের শিশুদের বইমুখি করতে ছোটকাল থেকেই বই পড়ার অভ্যাসে নিয়োজিত করতে হবে।

সকালে-বিকেলে দুই পর্বে ছড়া-কবিতা পাঠ এবং কথামালা ও আড্ডায় অংশ নেন অনুপ দাশগুপ্ত, অপু চৌধুরী, অপু বড়ুয়া, অভীক ওসমান, অমিত বড়ুয়া, অরুণ শীল, আজিজ রাহমান, আনিস আহমেদ, আনোয়ারুল হক নূরী, আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, আবু মুসা চৌধুরী, আবুল কালাম বেলাল, আলী আকবর বাবুল, আরিফ রায়হান, আয়েশা পারভীন চৌধুরী, ইকবাল হায়দার, ইফতেখার মারুফ, ইলিয়াস হোসাইন, ইসমাইল জসীম, এম কামাল উদ্দিন, এস এম আবদুল আজিজ, এস এম মোখলেসুর রহমান, কল্যাণ বড়ুয়া (ডা.), কাকলী দাশগুপ্ত, কাজী নাজনীন, কাজী রোকনুজ্জামান, কানাই দাশ, কানিজ ফাতিমা, কামরুন ঋজু, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কাসেম আলী রানা, কেশব জিপসী, কোহিনুর আকতার, খনরঞ্জন রায়, খালেছা খানম, খালেদা আউয়াল, গাজী, মোহাম্মদ নুরুদ্দিন, গোফরান উদ্দীন টিটু, গৌতম কানুনগো, গৌরীপ্রভা দাশ, চাঁদ সুলতানা নকশী, ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন খান, জসীম মেহবুব, জান্নাতুল ফেরদৌস, জাহাঙ্গীর মিঞা, জাহানারা মুন্নী, জায়তুন্নেসা জেবু, জিনাত আজম, জি এম জহির উদ্দীন, জোনাকী দত্ত, তরুণ কান্তি বড়ুয়া, তালুকদার হালিম, তাহেরা বেগম, তানভীর হাসান বিপ্লব, দিল মোহাম্মদ, দীপক বড়ুয়া, দীপান্বিতা চৌধুরী, নাছির উদ্দিন মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, নাজনীন আমান, নাজনীন লাকী, নাটু বিকাশ বড়ুয়া, নান্টু কুমার দাশ, নান্টু বড়ুয়া, নারায়ন বৈদ্য (ড.), নাসিম আখতার রীনা, নিজাম উদ্দিন, নিজামুল ইসলাম সরফী, নিলুফা আকতার চৌধুরী, নিশাত হাসিনা শিরিন, নীলিমা শামীম, নুর উদ্দিন, নূর হোসেন নিজামী তারা, নেছার আহমদ, পরিমল ধর, পারভীন আকতার, পিংকু দাশ, পুষ্পিতা সেন, প্রণব কুমার চৌধুরী (ডা.), প্রতিমা দাশ, প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, ফাতেমা জেবুন্নেসা, ফায়জুন্নেসা মিলি, ফারজানা আজিম, ফারজানা রহমান শিমু, ফিরোজ উদ্দিন তুহিন, ফেরদৌস আরা রীনু, বনশ্রী বড়ুয়া, ববি বড়ুয়া, বাসুদেব খাস্তগীর, বিচিত্রা সেন, বিপুল বড়ুয়া, বিপ্রতীপ অপু, বিভা ইন্দু, বিভাস গুহ, বিলাস কান্তি দাস, বিশ্বজিত বড়ুয়া, বীণাপাণি চক্রবর্তী, মনসুর নাদিম, মর্জিনা আখতার, মল্লিকা বড়ুয়া, মাজহার হেলাল, মাহবুবা চৌধুরী, মাহবুবা ছন্দা, মারজিয়া খানম সিদ্দিক, মিনহাজুল ইসলাম মাসুম, মিতা দাশ, মিতা পোদ্দার, মিলন বনিক, মুশফিকুর রহমান, মুহাম্মদ ইসহাক, মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী, মুহাম্মদ মুসা খান, মো. আব্দুল হাই, মো. মফিজুর রহমান ইমন, মোয়াজ্জেম হোসেন, যাদব চন্দ্র দাস, রফিক আহমদ খান, রহমান রনি, রায়হানা হাসিব, রাশেদ চৌধুরী, রাসেল পাল, রাসু বড়ুয়া, রুনা তাসমিনা, রূপক কুমার রক্ষিত, রূপম চক্রবর্তী, রেহেনা মাহমুদ, রোকন উদ্দিন, লিটন কুমার চৌধুরী, লিপি বড়ুয়া, শওকত আলী সুজন, শওকত হোসাইন, শর্মি বড়ুয়া, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, শরণঙ্কর বড়ুয়া, শহীদুল ইসলাম শহীদ, শাকিল আহমদ, শামীম ফাতেমা মুন্নী, শামীমা আক্তার, শামীমা আক্তার শিল্পী, শারুদ নিজাম, শাহনাজ পারভীন সিঁথি, শিউলি নাথ, শিপন দেবনাথ, শিপ্রা দাশ, শিরিন আফরোজ, শুভাশীষ দত্ত ভানু, শেখ মঈনুল হক চৌধুরী জোসেফ, শ্রীধর দত্ত, শৈবাল বড়ুয়া, সনজীব বড়ুয়া, সমীরণ বড়ুয়া, সরওয়ার আরমান, সাহেনা নাজনীন, সংগীতা চৌধুরী, সংযুক্তা চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।