ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে–ডিসি

ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে অবস্থানরতদের সরাতে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ্ থানার বিজয়নগর উত্তর পাহাড়তলীর ফিরোজশাহ এলাকা পরিদর্শনকালে একথা বলেন জেলা প্রশাসক। আগের রাতে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনায় তিনি এলাকা পরিদর্শনে যান। এসময় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে যেখানে আশ্রয়গ্রহণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। পাহাড় ধ্বসে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থিত অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণ করা হবে। এর আগে উক্ত এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

এই সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), চান্দগাঁও সার্কেল মো. মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, ওসি আকবরশাহ থানা ওয়ালী উদ্দিন আকবরসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৭ জুন রাতে মহানগরীর আকবরশাহ থানার অধীন উত্তর পাহাড়তলীর ফিরোজ শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে চার জন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন। এর পূর্বে গত পরশু সকাল থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্যে মাইকিং করার পাশাপাশি লিফলেটও বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট এলাকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তদারকিতে রেড ক্রিসেন্টে, এম এম ফাউন্ডেশন, সিপিপি এর সেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত ১৬ জুন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নিরাপদে কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াই ডব্লিউ সি এ স্কুল ও হাজী হযরত (রাঃ) আলিয়া মাদ্রাসায় এ পর্যন্ত ৩২ টি পরিবারকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।