টাইগার মিসাইল সেনাবাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে—সেনাপ্রধান

‘জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গুল ২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতা সম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস মিসাইল ফায়ারিং হয়েছে।

যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা। নতুন সংযোজিত তুরস্কের তৈরি টাইগার মিসাইল সেনাবাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে’— টেকনাফে ১২০ কিলোমিটার মিসাইল ফায়ারিং অনুষ্ঠানে এমনটি বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) টেকনাফের শিলখালী ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ঘণ্টাব্যাপী প্রথমবারের মতো ১২০ কিলোমিটার ফায়ারিং কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সেনাবাহিনী জানায়, ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জে মিসাইল ফায়ারিং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এটিই প্রথম। সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে ঘন্টাব্যাপী চলে মিসাইল ফায়ারিং। সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত টাইগার এমএলআরএস’র যৌথ জাহাজীকরণ ও স্থানীয় প্রশিক্ষণের পর এই ফায়ারিং এর আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, চিফ অব জেনালের স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনালের মিজানুর রহমান শামীম, এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, নৌবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা সদর ও স্থানীয় ফরমেশনের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।