সরকারি চাকরির নামে টাকা হাতিয়ে র‌্যাবের জালে যুবক

মিঠুন চক্রবর্তী পেশায় একজন গাড়ির ড্রাইভার। গাড়ি চালানোর সুবাদে পরিচয় হয় মোহাম্মদ সোহেল আলমের সাথে। এক পর্যায়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ড্রাইভার পদে চাকরি দেওয়ার লোভ লাগান সোহেল। আর পর্য়ায়ক্রমে হাতিয়ে নেন প্রায় ৫ লাখ টাকা। ব্যবস্থা করেন নিয়োগপত্রেরও। আর সেটি ভূয়া মনে হলে টাকা ফেরত চান মিঠুন চক্রবর্তী। তবে ১ লাখ টাকা ফেরত পেলেও বাকি টাকা না দিয়ে প্রতারক চক্র বিভিন্ন ধরণের তাল-বাহানা ও হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগী মিঠুন চক্রবর্তী প্রতারণার বিষয়ে র‌্যাব-৭ এ একটি লিখিত অভিযোগ করলে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দেওয়ান নগর এলাকা থেকে মোহাম্মদ সোহেল আলমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

র‌্যাব জানায়, প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করে গত জুলাই মাসে দুই ধাপে তাদের ৫ লাখ টাকা দেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর প্রতারক চক্রটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপত্রটি হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে মিঠুন চক্রবর্তী জানতে পারেন যে এটা একটা ভুয়া নিয়োগপত্র। এরপর এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতারকরা মিঠুনকে ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার সোহেল প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তার অপর সহযোগী মো. জসীম উদ্দিনদের সঙ্গে মিলে পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।