টেকনাফে ছোটভাই খুনের ঘটনায় বড়ভাই গ্রেপ্তার

টেকনাফে বড় ভাইয়ের হাতে ছোটভাই খুনের ঘটনায় নিহত হোছনের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৫৩) বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব-১৫।

র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বাঁচতে পারেনি প্রধান অভিযুক্ত বড়ভাই। জমি বিরোধের জের ধরে খুন হওয়া মো. হোছনের বড়ভাই মো. ইউনুছকে (৬০) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার মুহুরিপাড়ায় দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তির ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃত মো. ইউনুছ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে। গত ২৮ জানুয়ারি খুন হওয়া হোছন মকবুল আহম্মদের ছোট ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১৫’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, বুধবার আড়াইটার দিকে ছোটভাই মো. হোছনকে খুন করার দায়ে তার বড়ভাই মো. ইউনুছকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম-উত্তর পাড়া এলাকায় পারিবারিক জমির বিরোধ চলছিল বড় ভাই ইউনুছ ও ছোট ভাই হোছনের মাঝে। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় হোছেনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায় বড় ভাই। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও মো. হোছনের ওপর হামলে পড়ে বড় ভাই ইউনুছ, তার ছেলে ও লোকজন। বড় ভাই ইউনুছ, তার ছেলে এবং ভাতিজাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে লাঠিসোটা, লোহার রড, কিরিচ ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হোছনকে মারাত্বকভাবে জখম করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানোর জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।