ড্রিল জালালের ভাই রাশেদ ৪ সহযোগী নিয়ে গোয়েন্দা জালে ধরা

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা জালে আটক পড়েছে ড্রিল জালাল ওরফে হামকা জালালের ভাই রাশেদ ও তার চার সহযোগী- আরমান, জনি, সোলায়মান ও রিদুয়ান। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছুরি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করা হয়।

বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) শাহাদাত হুসেন রাসেল। তিনি বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতি কালে শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় তাদেরকে পাঁচলাইশ থানার মাঝির দোকান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চান্দগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, রাশেদ শমসেরপাড়ার ইসমাইলের পুত্র। তার বড় ভাই নগরীর ভয়ঙ্কর হামকাগ্রুপের সাবেক সদস্য। পুলিশের তৎপরতায় হামকাগ্রুপ বিলুপ্ত হলে জালাল তার নিজের বন্ধু ও ছোট ভাই রাশেদের বন্ধুদের নিয়ে নতুন গ্রুপ পরিচালনা করে।

এই গ্রুপ নগরীতে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা করছে। তাদের হাতে ইউনোস্কো সেন্টারের এক ব্যবসায়ী অপহরণের শিকার হয়েছিল। যিনি আবার সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তরের বড় এক কর্মকর্তার বোন জামাই। তখনই মূলত জালাল ও তার বাহিনী পুলিশের নজরে আসে।

এর পরপরই জালাল বাহিনী আরেক যুবলীগ কর্মীকে ড্রিল মেশিন দিয়ে পায়ে ছিদ্র করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলে জালাল আলোচনায় আসে। এই বাহিনী ভাঙ্গতে সিএমপির তৎকালীন ডিসি উত্তর বিজয় বসাকের নেতৃত্বে চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ থানার সীমান্তে ব্লক রেড দেওয়া হয়। পুলিশ তার আস্তানা গুড়িয়ে দেয়।

জালাল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যায়। জামিনে মুক্ত হয়ে আবার বাহিনী গোছাতে থাকে এবং মাদক ব্যবসায় জড়ায় বলে তথ্য পায় পুলিশ। গত ১৯ এপ্রিল জালাল তিন হাজার ইয়াবা নিয়ে চান্দগাঁও থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। এসময় তার দুই সহযোগী মিরাজ ও দিদার পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ।

রাশেদের সাথে আটক অন্যরা হলো, চান্দগাঁও থানার বাড়াইপাড়ার মৃত ইউনুছ গনির ছেলে আরমান, রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকার নাছেরের ছেলে জনি, লক্ষ্মীপুরের রামগতির কামাল উদ্দিনের ছেলে সোলায়মান, শমসের পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিদুয়ান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।