ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলবে ২০টি দোতলা বৈদ্যুতিক বাস

কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক গণপরিবহন। চলতি বছরের শেষের দিকে বিআরটিসি বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে ১০০টি দোতলা বৈদ্যুতিক বাস। এর মধ্যে ৮০টি ঢাকা নগরীতে, আর ২০টি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলবে।

বুধবার (১০ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৈদ্যুতিক গাড়ি রুপান্তর সংক্রান্ত বৈঠক ও সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক এক কর্মশালায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব বিষয় জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে বিআরটি প্রকল্পে চলবে বৈদ্যুতিক গণপরিবহন। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। আজকের কর্মশালায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

তিনি বলেন, বড় বড় দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, বাংলাদেশের মতো ছোট ছোট দেশগুলো ভোগান্তির শিকার। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অ্যাকশনে যেতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। সড়ক-পরিবহন খাতে নূন্যতম ৩০ শতাংশ পরিবহনকে বৈদ্যুতিক গণপরিবহনে রূপান্তর করতে হবে।

সভায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল্লাহ নুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে সরকার ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল নীতিমালা’ প্রণয়নের কাজের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করে। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে এ বিষয়ে ২০০ কোটি ডলারের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় বিআরটিসির জন্য ৩০০টি বিদ্যুৎচালিত দ্বিতল এসি বাস সংগ্রহ করা হবে। তারই প্রথম চালানের ১০০ বাস অক্টোবরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিদুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান এবং বিশ্ব ব্যাংকের কোঅপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।