দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে মোতাহেরুলেই আস্থা কেন্দ্রের

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তিনি বর্তমানে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি পটিয়া উপজেলা পরিষদেরও চেয়ারম্যান।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় তাকে মনোনয়ন দিলেও বিষয়টি প্রকাশ হয় শনিবার (২৫ ফ্রেব্রুয়ারি)।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী শাখায় পরিণত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর নগরের জিমনেসিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
মোসলেম-মফিজ দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে আসেন ২০১৩ সালে।
২০০৫ সালের ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি এবং প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়।

২০১২ সালের ৪ নভেম্বর আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সে থেকে দলটির দক্ষিণ জেলা আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন মোছলেম উদ্দীন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।