দল বিবেচনা করে ভাতা দেননি শেখ হাসিনা—তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন। এই ভাতাগুলো যারা পাচ্ছেন, কে কোন দল করেন সেটি আমরা কখনো দেখিনি। এছাড়াও টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে নানান ধরনের সাহায্য পাচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যনে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। আগের সরকার ভাতা দিলেও এসমস্ত ভাতা দেয়নি। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এসব ভাতা দিচ্ছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ নানা ধরণের ভাতা পাচ্ছে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে সাধারন মানুষের ভাতাগুলো কেড়ে নিয়ে নেতারাই খেয়ে ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, ৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিল। ২০০১সালে বিএনপি এসে সেই ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সময় প্রতি ইউনিয়নে মাত্র দুই-চার পাঁচজনে ভাতা পেত, যারা পেত তারা বিএনপি নেতাদের কাজের ছেলে বা আত্মীয়-স্বজন, সাধারণ মানুষ সরকারের ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা পেত না।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েকটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সেখানে গরু বেঁধে রেখেছিলো। আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় এসে গরু-ছাগল সরিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেছে। বর্তমানে দেশে সবমিলিয়ে ২৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারের পাাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে করোনার সময় ফ্রি মাস্ক, সেনিটাইজার এবং পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছেন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি ঈদ, পূজা-পার্বন এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নতুন কাপড়, ফ্রি চাল, ডালসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছি। গত শীত মৌসুমে ১০ হাজার মানুষকে কম্বল দিয়েছি। যারা লম্বা লম্বা কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে তারা কোনদিন একমুঠো চাল কাউকে দেইনি। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতেও নৌকা মার্কার সরকারকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।

ইউপি সদস্য আলমগীর তালুকদার রণির সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।