দায়বদ্ধতা থেকে আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছি—নুরুল ইসলাম বিএসসি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, জনগণের ভাগ্য বদলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে শিক্ষা। শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। এজন্য জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের আহ্বান জানাই যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করুন আর যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রবীন এ নেতা বুধবার (১ মার্চ) নিজের প্রতিষ্ঠিত নুরুল ইসলাম পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র বলেন, উন্নয়ন মানেই বস্তুগত অবকাঠামো নির্মাণ নয়। বরং উন্নয়ন মানে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন এবং এ উন্নয়নের বিকাশ ও প্রয়োগের জন্য সার্বিক পরিবেশ সৃষ্টি। এজন্য আগামীর প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষায় বিনিয়োগকে প্রাধিকার দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই শিক্ষাখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে। আমাদের পরিচালিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদিতে পড়াশোনা করে একটি দক্ষ মানসম্পদ গড়ে উঠছে যারা শোভন পেশায় যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নেতৃত্ব দিবে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে এমন অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে যারা হয়তে আর্থিক অসংগতির কারণে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতো। মেয়র হিসেবে বাজেট বন্টনের ক্ষেত্রে আমি শিক্ষাখাতকে প্রাধিকার দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও শিক্ষার বিকাশে কাজ করে যাব।

এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এলাকাবাসীর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করায় আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বিএসসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মেয়র রেজাউল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শওকত আকবরের সভাপতিত্ত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, কর্ণফুলির থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়ন্ত বাড়ৈ, নুরুল ইসলাম পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম, নুশিসের সেক্রেটারী ও হাজেরা তজু ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. দবির উদ্দিন খান, হাজেরা তজু ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম ইছমাইল, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের শিক্ষানুরাগী সদস্য শাকিলা বেগম প্রমূখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।