দিয়াজ হত্যা—মায়ের নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলা এবার তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশন (পিবিআই)। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজির আবেদন করেন দিয়াজের মা। নারাজি আবেদন আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনাইদের আদালত পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।

বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, দিয়াজ হত্যা মামলায় নারাজির আবেদন গ্রহণ করে পুনরায় পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে চবির বাইরে দুই নম্বর এলাকায় নিজ বাসা থেকে ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করেন। এর ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ।

তবে দিয়াজের পরিবার ও অনুসারীরা মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবি জানান। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। দিয়াজের মায়ের আবেদনে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

মামলাটিতে ছাত্রলীগের সেই সময়ের চবি সভাপতি আলমগীর টিপু, তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে আসামি করা হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর দিয়াজের মরদেহ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দিয়াজের শরীরে আঘাতজনিত জখমের মাধ্যমে হত্যার আলামত আছে।’ পরে দিয়াজের মায়ের করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে নিতে হাটহাজারী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।

২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে সিআইডি উল্লেখ করে, বিবাহিত জীবন গোপন করা নিয়ে প্রেমিকা সায়মা জেরিন প্রিয়াংকার সঙ্গে টানাপড়েন, নিজ গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং পরিবারের সদস্যদের মানসিক নির্যাতনে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।