দুই যুগ পর প্রাণের ক্যাম্পাসে চবির ৩৩তম ব্যাচ

চবি প্রতিনিধি

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩৩তম ব্যাচের পূনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ‘আবার আসিব ফিরে বর্ণিল এই প্রাঙ্গণে’ প্রতিপাদ্যে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজিত হয় এ উৎসব। এদিন পুরো ক্যাম্পাস ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে।
সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

উপ-উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এরকম অনুষ্ঠান বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। এতে করে ব্যস্ত জীবনের একঘেয়েমি দূর হবে।
এছাড়াও এতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দুই যুগ পর প্রিয় ক্যাম্পাসে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা দেখলেন দীর্ঘদিন আগে পাঠ চুকিয়ে যাওয়া প্রিয় ক্যাম্পাসের পরিবর্তন। সেই পুরোনো দিনের বন্ধুদের কাছে পেয়ে আড্ডায় মেতে উঠছেন অনেকেই। কেউবা আবার ব্যস্ত তাদের মুহুর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করতে।

বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গণিত বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মঈনউদ্দীন। তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, স্ত্রী ও দু-সন্তানকে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। আমি ১৯৯৮ সালে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন ২০২৩ সাল কিন্তু আমি ১৯৯৮তেই যেন ফিরে গেছি। শহর থেকে শাটল ট্রেনে করে বন্ধুদের সাথে আসা সেইসাথে পুরনো বন্ধুদের পেয়ে মনে হচ্ছে যেন সেই ১৯৯৮ সালে ফিরে গেছি। এরকম একটা অনুষ্ঠানের যারা আয়োজন করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

উৎসবে আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে রয়েছে, ম্যাজিক শো ও পাপেট শো, শিশুদের অংশগ্রহণের নাচ-গান ছড়া পরিবেশন, সম্মাননা প্রদান এবং স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র‌্যাফেল ড্র।
সবশেষ সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এ মিলনমেলার পরিসমাপ্তি ঘটে

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।