দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণের সমান রাজস্ব আদায় করলো চট্টগ্রাম কাস্টমস

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর দেশের সবচে বড় উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রায় দ্বিগুন। বকেয়া আদায় হলে সেটা দুটি পদ্মা সেতুর ব্যয়কেও ছাড়িয়ে যেতো।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি অর্থবছরে বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বকেয়া রাজস্ব আদায় হলে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ দাঁড়াত ৬৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা।

বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। বকেয়া আদায় হলে প্রবৃদ্ধি হতো ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এর আগের বছর ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।

বকেয়া রাজস্বের মধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, পদ্মা অয়েল কোম্পানির কাছে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কাছে ২৮ কোটি ৪০ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলের কাছে ৫৭ লাখ, সামিট এলএনজির কাছে ৫ কোটি ১১ লাখ, এক্সিলারেট এনার্জির কাছে ১৩ লাখ বকেয়া রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের কাছে বকেয়া রয়েছে ৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার এম ফখরুল আলম বলেন, ‘কাস্টম হাউস চোরাচালান রোধ, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করায় রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়। বকেয়া বাদ দিলে আমাদের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ। এটা গত অর্থবছরে যে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল তার চেয়ে ১৫ শতাংশের হিসাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।