দুদকের ৩ মামলার জালে ৭ কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ১৬ জন

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিগারেট আমদানি করে ১০৫ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তা, আমদানিকারকসহ জালিয়াত চক্রের ১৬ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা তিনটি (মামলা নং-১৪, ১৫, ১৬) দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুস সায়াদাত।

দুদকে দায়ের হওয়া ১৪ নম্বর মামলায় জিপার ও চাইনিজ নিউ টায়ার ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিগারেট আমদানি ও খালাস করে ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
আসামি হলেন, কাস্টমস হাউজের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহমদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল আল মাছুম, অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম। আমদানিকারক আবদুল হান্নান দেওয়ান (৪৮), সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার (৫৩), মো. মিজানুর রহমান চাকলাদার (৪৮), মফিজুল ইসলাম লিটন (৫১), আবদুল গোফরান (৩৩), জহুরুল ইসলাম (২৬)।

১৫ নম্বর মামলায় পোষাক কারখানার বাটন ও সেফটি পিন ঘোষণা নিয়ে উচ্চ শুল্ক হারের সিগারেট আমদানি ও খালাস করে ৩২ কোটি ২৭ লাখ ১ হাজার ৬৪৫ টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহমদ, সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল আল মাছুম, অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম, আমদানিকারক মো. সালাউদ্দিন টিটো (৪৮), সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার (৫৩), আবুল কামাল (৩৪)।

১৬ নম্বর মামলায় চায়নিজ নিউ টায়ার ও এসএস এক্সোসরিজ ঘোষণায় উচ্চ শুল্ক হারের সিগারেট আমদানি করে ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি ও আত্মাসাতের অভিযোগ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- কাস্টমস হাউজের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহমদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল আল মাছুম, অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম, আমদানিকারক মাহবুবুর রহমান (৪৬), সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার (৫৩), আবদুল গোফরান (৩৩), জহুরুল ইসলাম (২৬), আবুল কামাল (৩৪)।

তিনটি মামলার সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার আসামি হয়েছেন। সাথে তার প্রতিষ্ঠানের আরও ৫ জন অভিযুক্ত। মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের এই অনিয়মে দুদক আমদানী কারক পেয়েছেন তিনজনকে। আর এই চক্রকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছেন কাস্টমসে ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।