দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, এ দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দিচ্ছে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কিছমত জাফরাবাদ এলাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ গৃহ প্রাপ্তদের সাথে মতবিনিময় করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সাত বারের নির্বাচিত প্রবীণ সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, দেশ এগিয়ে যায়। শহরের সব সুবিধা পৌঁছে যাবে গ্রামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বেঁচে থাকতে একটা মানুষও না খেয়ে থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, মিরসরাইয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হয়েছে। ৩০ হাজার একর জমির ওপরে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকলে মিরসরাইবাসীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেকোনো প্রবাসী বিনিয়োগ করতে চাইলে সানন্দে তাদের অভিবাদন জানাব এবং সার্বিক সহযোগিতা করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমানের সভাপতিত্বে ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম দিদাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, সার্কেল এসপি লাবীব আব্দুল্লাহ, মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নসহ উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মিরসরাই উপজেলায় সরকারি খাসজমির স্বল্পতা থাকায় ব্যক্তিগত জমি ক্রয় করে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুণর্বাসনের জন্য ১৯০টি পরিবারের জন্য ২ দশমিক ৬০ একর জমি ক্রয় বাবদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সে জায়গায় ১১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। প্রকল্পে রয়েছে পুকুর, মসজিদ, খেলার মাঠ ও কবরস্থান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।