দেশ-বিদেশের ২০০ গবেষক-বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণে সিভাসুতে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়ান এসোসিয়েশান অব ভেটেরিনারি এনাটমিস্টদের (Asian AVA) ৮ম দ্বি-বার্ষিক ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে রোববার (৩০শে অক্টোবর)। এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনটি প্রতি দু’বছর পর পর এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম বারের মত এই সম্মেলনটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশসহ জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, ফিলিপাইনের প্রায় ২০০ বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অংশ নেবেন।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সিভাসু অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানান সম্মেলন আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও সিভাসুর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুতফুর রহমান। এসময় আয়োজক কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাহিরুল ইসলাম খান, সিভাসুর অধ্যাপক ড. রায়হান ফারুক ও অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুতফুর রহমান বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার সম্মেলনে গবেষণা প্রবন্ধ স্ব-শরীরে এবং ভার্চুয়ালি উপস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে “এনাটমিতে নতুন দিগন্ত”। Plenary Session এ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাপান এবং বাংলাদেশের ৩ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। ২ দিনের সম্মেলনে মোট ৬টি টেকনিক্যাল সেশনে ৩২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। তাছাড়াও সম্মেলনে বিষয় সংশ্লিষ্ট ২১টি গবেষণামূলক পোস্টার প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে।

এ সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এবং বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন এশিয়ান এসোসিয়েশান অব ভেটেরিনারি এনাটমিস্টদ সভাপতি অধ্যাপক ড. ইউশুহিরু কুন এবং সিভাসুর ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জহিরুল ইসলাম খান।

সম্মেলনের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোঃ জাহিরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশ এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশসমূহের মধ্যে এনাটমি বিষয়ে পড়াশোনা এবং গবেষণার জন্য আন্তঃযোগাযোগ, যৌথ কার্যাবলী এবং ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করাই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। গবেষণালব্দ জ্ঞান, দক্ষতা বিনময়ে আমাদের ফার্মিং আরও ডেভেলপ করবে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে। আমাদের দেশেও বিদেশিরা পড়তে আসবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।