ধামা জুয়েলের ভাই হামকা রাজু গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হামকা রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। রাজু চান্দগাঁও কসাই পাড়ার জয়নাল আবেদীন জুনুর ছেলে। অপরাধজগতে তার প্রধান সহযোগী ছোট ভাই মো. জুয়েল ওরফে ধামা জুয়েল।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বহদ্দারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুর রহমান চৌধুরী।

ওসি মাঈনুর বলেন, ৩ নভেম্বর রাতে বিদেশী অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছিল রাজু। সম্প্রতি জামিনে এসে আবার বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩টি হত্যা চেষ্টা মামলা, ১টি চাঁদাবাজি মামলা ও ১টি ছিনতাই মামলা ছাড়াও তারা বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।

হামকা রাজু ও তার ভাই ধামা জুয়েল সিএমপির তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার ও সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বহদ্দারহাট, খাজা রোড ও পূর্ব ষোলশহর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, মোটর সাইকেল চুরি, মাদক বিক্রি, জুয়ার আসর, পতিতাবৃত্তিসহ নানান অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। অন্তত অর্ধশতাধিক কিশোর অপরাধী নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে ভয়ংকর হামকা রাজু গ্রুপ।

গত ৩ নভেম্বর রাত একটার দিকে রাজুকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু ঘরের বাতি নিভিয়ে টয়লেটে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। টয়লেট থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭ এর বিশেষ টীম। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে টেলিভিশন বক্সের পেছন থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি ইলেক্ট্রিক শক মেশিন উদ্ধার করা হয়।

২৪ আগস্ট ২০২০ চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের বিপরীতে রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া গুলনাহার বেগম ও তার ছেলে রিফাতকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছিল রাজুর চাচাতো ভাই ফারুক। ফারুক সেই জোড়া খুনের মামলার একমাত্র আসামি। মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল ফারুক। ফারুক কারাগারে এবং মামলাটি বিচারাধীন আছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।