নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ইস্যুতে মুখ খুললো চবি শিক্ষক সমিতি

অবশেষে অবস্থা বুঝে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন হয়েছে মর্মে অডিও ক্লিপসহ কিছু সংবাদ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ অন্যান্য নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ শিক্ষক সমাজ ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিতর্কিত সেই নিয়োগ বাতিল করা হয়। এছাড়াও ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের ৫টি অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ামক শাখার কর্মচারী আহমদ হোসেন ও উপাচার্যের একান্ত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় প্রশাসন। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীনকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আগের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে বদলি করা হয়।

এসআর/এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।