নুরজাহান গ্রুপের মালিকদের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ

নুরজাহান গ্রুপের সব মালিকের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাউথ ইস্ট ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দুই দিনের মাথায় ঋণ খেলাপিদের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাইথ ইস্ট ব্যাংকের দায়ের করা অর্থঋণ মামলা ২৯৯/২০১৯ যা অর্থঋণ জারী মামলা নম্বর ২৫৪/২০২১-এ নুরজাহান গ্রুপের মালিকানাধীন জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেড, ম্যারিন ভেজিটেবল অয়েলস্ লিমিটেড, নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেড, তাসমিন প্রোপার্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠান ও মালিক পক্ষের ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালত গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২৬১/২০১৯ নম্বর মামলায় (জারি মামলা নম্বর ২৫১/২০২১) নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান জহির আহমেদ রতন ও তার ভাই টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেন। ঠিক একদিন পর রতন, তার স্ত্রী, টিপুর পাশাপাশি জসিম উদ্দিন, ইফতেখার আল জাবের, ফরহাদ মনোয়ারের পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কেন্দুরবাগের কাবিল মুন্সিবাড়ির হাজী আব্দুল খালেকের পুত্র জহির আহাম্মেদ রতন জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেড এবং তাসমিন প্রোপার্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার স্ত্রী তাসমিন মনোয়ার জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক এবং নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

রতনের ভাই টিপু সুলতান জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ম্যারিন ভেজিটেবল অয়েলস্ লিমিটেডের পরিচালক। তাদের ভাই জসিম উদ্দিন জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক এবং নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান। ইফতেখার আল-জাবের জাসমির সুপার অয়েল লিমিটডের পরিচালক। ফরহাদ মনোয়ার জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক।

জানা গেছে, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নুরজাহান গ্রুপ এবং তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের নামে অন্তত চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তারা। রতন ও টিপুর সাথে তাদের আরেক ভাই ফরহাদ মনোয়ারের নামেও রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আর মামলা রয়েছে অন্তত দেড় ডজন। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে রাখা বন্ধকি সম্পত্তির মূল্যও এতো কম যে, তা দিয়ে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের দশ শতাংশও আদায় করা সম্ভব নয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।