নৌ পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

নৌ পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার, মালিক- শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বৈঠকের পর আগামী এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করার আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দিয়েছেন নৌ পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠনের নেতারা।

নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার এবং নৌ পরিবহন খাতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক হয়।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেন নৌযান শ্রমিকরা।

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম বন্দরেও মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ ছিলো। এমনকি বন্দরের পাশে থাকা ১৭টি ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামার কাজও চলেনি।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার বন্দরের বহির্নোঙরে বিভিন্ন পণ্যবাহী ২২টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলছিল। সেগুলোর সঙ্গে সোমবার কয়েকটি জাহাজ পণ্য খালাসের জন্য প্রস্তুতি নিলেও শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে তা বন্ধ থাকে।


শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো
—নৌ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও রাতে ড্রেজার চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের অনিয়ম বন্ধ করা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।