পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড

আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে কন্টেইনার ওঠানামা সামান্য কমলেও বাল্কপণ্য এবং জাহাজ আসায় রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর চলতি বছর আমদানি ২১ শতাংশ কমলেও রফতানির মাত্র ৫ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ওঠানামার পরিমাণ কমছে। গত বছর ৩২ লাখ ১৪ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করলেও এবার ঠেকেছে ৩১ লাখের সামান্য বেশি। তবে বাল্কপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় থাকায় এই খাতে রেকর্ড হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, গত বারের রেকর্ড হয়তো আমরা অতিক্রম করতে পারব না, তবে কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব।

আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ডলার বাঁচানোর সরকারের সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রাইভেট আইসিডিগুলোতেও।

গত বছর প্রাইভেট আইসিডিগুলো ৭ লাখ ৯০ হাজার রফতানি এবং ৩ লাখ ৩ হাজার আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে। তবে ২০২২ সালে রফতানি কন্টেইনারের সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজার এবং আমদানি কন্টেইনার ২ লাখ ৩৭ হাজারে নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে রফতানিতে মাত্র ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মাঝে আমদানি কমেছে অন্তত ২১ শতাংশ।

বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব বলেন, ডলারের রিজার্ভের কমতি আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একই সঙ্গে সেই প্রভাব পড়েছে আমাদের আমদানি খাতেও।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোয়িশেনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, পণ্য আমদানি কিংবা রফতানি তুলনামূলক কম হলেও গত বছরের তুলনায় ৭৮টি জাহাজ বেশি এসেছে চলতি বছর।

৫৩ হাজার ধারণক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার রয়েছে মাত্র ২৭ হাজার ৮০০ টিইইউএস কন্টেইনার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।