পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজার প্রশাসনের ৭ দফা সিদ্ধান্ত

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবার মান বাড়াতে হোটেলগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় তথ্যকেন্দ্র ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনসহ সাত দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এসব সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সভায় পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ও ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিভিন্ন বিষয় আলোচনা শেষে সাত দফা সিন্তান্ত গৃহীত হয়। তা বাস্তবায়নে প্রশাসন শিগগিরই কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে। সাত দফার সিদ্ধান্ত হলো, সব আবাসিক হোটেলে রুম বুক দেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও দাখিল করা, পর্যটকদের সুবিধার্থে ডলফিন মোড়ে সুবিধাজনক স্থানে একটি তথ্যকেন্দ্র ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন, প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা। যাদের আগ থেকেই নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে তা আরও জোরদার করা।

এছাড়াও হোটেল-মোটেল জোনে অবৈধ পার্কিং ও সমাজবিরোধীদের কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান জোরদার করা, হোটেল মোটেল মালিক সমিতি জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা। প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা সম্বলিত ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা। আবাসিক হোটেলসমূহে অনুসরণীয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি (এসওপি) প্রণয়ন করা।

আজকের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে যেন বাস্তবায়ন তার দাবি জানিয়ে দি সি প্রিন্সেস হোটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) একরামুল বাশার চৌধুরী সুমন চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা আরও কঠোর। আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগ থেকেই আছে। আজ যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছ তা যেন গেস্ট হাউজগুলো সঠিকভাবে মেনে চলে এবং কর্তৃপক্ষ যেন নিয়মিত তদারকি করে।

পর্যটকদের তালিকাসহ প্রশাসনকে দেওয়া বিভিন্ন গেস্ট হাউজের তথ্যে যেন বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে তা তদারকিরও দাবি জানান পর্যটন ব্যবসায়ী সুমন।

বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহেরসহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।