পাচারের সময় গিবন উল্লুক উদ্ধার করলো পুলিশ, পাচারকারীদের জেল-জরিমানা

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিরল প্রজাতির একটি উল্লুক উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। উল্লুক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই পাচারকারীকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। বিরল প্রজাতির উল্লুকটি ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় উপজেলার চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাসে করে খাঁচাবন্দী উল্লুকটি নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের হাতেনাতে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিরা হলো কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ মাজহারুল (৩২) এবং দেবিদ্বার উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে মমিন।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বিপন্ন প্রজাতির উল্লুকটি বিক্রির উদ্দেশ্যে মাজহার ও মুবিন নিয়ে যাচ্ছিলো। আমরা বাস তল্লাশী করে সেটি উদ্ধার করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্যাহ তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের বণ্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৪(খ) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে পুলিশ কর্মকর্তা সাজিব হোসেন, চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ হোসেন, চুনতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। আসামিদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের জন্য লোহাগাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম গিবন উল্লুক। এটা মূলত গাছের মগ ডালে থাকে, ওইখানে ঘুরাফেরা, খাবার আহার বাসস্থান সবকিছুই করে থাকে। প্রাণীটি খুবই বিপন্ন প্রজাতির, বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কয়েকটি বনাঞ্চলে গিবন উল্লুক দেখতে পাওয়া যায়, সবখানে এগুলো পাওয়া যায় না। এরা ফলমূল ও পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে। প্রাণীটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে এদের বসবাস যেখানে ওই বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।