পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের ৬শ দালালের তালিকা প্রশাসনের হাতে

দেশে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজারসহ ভোজ্যপণ্য। খুচরা বাজারগুলোতে কয়েক দিনের ব্যবধানে অস্বাভাবিকভাবে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে গিয়ে ৬শ’র বেশী দালালের (মধ্যসত্ত্বভোগী) তালিকা পেয়েছে প্রশাসন, যাদের হাত বদল হয়েই পণ্যের দাম বাড়ে।

রোববার (২১মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

এইসময় মূল্য তালিকা না থাকা এবং ক্রয় বিক্রয় রশীদ সংরক্ষণ না করার মতো অনিয়মের অপরাধে দুই দোকানকে (বার আওলিয়া ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা এবং ফরিদপুর বানিজ্যালয়কে ৩ হাজার টাকা) ৮ হাজার টাকা এবং জাহেদ নামের একজন ব্যাপারিকে ২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত আড়তদারদের জরিমানা পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করে দেন। অস্বাভাবিক মূল্যে পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বলেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও বাজারে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে মধ্যসত্ত্বকারী একটা সিন্ডিকেট আছে যারা পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী। এইখানে ডিমান্ড অর্ডার ( DO ) এর মাধ্যমে শুধুমাত্র ১টি ক্রয় রশীদই বিক্রি হয় ১০ জনের অধিকের কাছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেডিংয়ের দোকান থেকে ছয় শতের উপরে মধ্যসত্বভোগীদের নাম এবং মোবাইল নাম্বার সংগ্রহে নিয়েছি যাদের মাধ্যমে একটি পণ্যের দাম হাত বদল হয়ে হয়ে দাম বাড়তে থাকে।
এইখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশাপাশি মিল মালিকদের কারসাজিও আছে। এই বিষয়টি গুরত্বসহকারে নিয়ে এদের ট্রেড লাইসেন্স চেকিংসহ পরবর্তিতে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পরে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হবে জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজার মনিটরিং আব্যাহত আছে। যে কোন ভোজ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের কিছু নামের তালিকা সংগ্রহে আছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।