প্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিলেন ২৪ জন

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, জেরা শুরু ২৯ মে

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরই মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আদালতে ২৪ তম সাক্ষী হিসেবে আজ সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন। এই মামলায় নতুনভাবে আর কোনও সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে না। আগামী ২৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিনকে জেরা করবে আসামি পক্ষ।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৬ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠন হয়।

গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে একই আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকেরও নির্দেশ দেন।

দুদকের মামলা চলাকালেই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় সম্পৃক্ত থাকায় আদালত প্রদীপকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে।

নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা আর সি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি কারণ সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। তবে প্রদীপের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে চুমকি পলাতক ছিলেন। আজ আদালতে চুমকির আত্মসমর্পনের সময় প্রদীপও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।