ফিজিওথেরাপিস্ট বাড়িতে, রোগীর চিকিৎসা করছেন ল্যাব সহকারী

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার পুরাতন ব্রিজঘাট এলাকার নূর মার্কেটের কর্ণফুলী হেলথকেয়ার এণ্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগীদের ভিড়। তারা সবাই এসেছেন থেরাপি নিতে। থেরাপি রুমের সামনে গ্লাসের দরজায় বড় বড় হরফে থেরাপিস্ট আবরার উদ্দীন আরাফাত নাম লিখা থাকলেও কোথাও তিনি নেই। থেরাপি দিচ্ছেন ল্যাব সহকারী নারগিস। আর থেরাপি নিয়ে বের হচ্ছেন রোগীরা।
রিসেপশনে গিয়ে ফিজিওথেরাপিস্ট আবরার বিন আরাফাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তার রোগী দেখার সময় ৯টা থেকে রাত ১০টা। তবে প্রশ্ন উঠে বিকেল চারটায় রোগী দেখছেন কে?

অন্যদিকে ডায়গনস্টিক সেন্টার ল্যাবে সেম্পল কালেকশন রুমে গেলে দেখা যায় কালেকশন এর কাজে ব্যবহৃত মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন এবং সরঞ্জাম।
বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে পান কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী। অভিযান চালিয়ে কর্ণফুলী হেলথ কেয়ার এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

অভিযানে সহযোগীতা করেন কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সামিনা তাবাচ্ছুম, ডা. সাঈদা সাদিয়া তানজিলা এবং কর্ণফুলী থানা পুলিশের একটি টিম।

ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট পিযূষ কুমার চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করি। তাদের কাছে চিকিৎসক এবং টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের সনদ বা কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। চিকিৎসক না থাকলেও ল্যাব সহকারী থেরাপি প্রদান করতে দেখতে পাই। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সন্তোষজনক বক্তব্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।