ফ্লেমিং-মরগানদের পাশে হৃদয়

তৌহিদ হৃদয়—দেশের ক্রিকেট পাড়ায় নতুন এক তারকা। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে নামটা ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্তরের অন্তস্থলে জায়গা করে নিয়েছে। টি-টোয়ান্টি ক্রিকেটে নিজের জাত চেনানোর পর এবার ওডিয়াইতেও দেখিয়েছেন ব্যাটের ধার। অভিষিক্ত ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করে শতরানের সুযোগ মিচ করেও ফ্লেমিং-মরগানদের পাশে ঠাঁই হচ্ছে হৃদয়ের নাম।
শনিবার (১৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১৪০তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় তৌহিদ হৃদয়ের।

অভিষেক ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৫ বলে ৯২ রান করেন হৃদয়। অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিক হন তিনি। তার আগে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতে ৬৩ রান করেছিলেন নাসির হোসেন।

অভিষেক ম্যাচেই রেকর্ড গড়ার হাতছানি ছিল তৌহিদ হৃদয়ের সামনে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার দেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি। তবে ওয়ানডেতে অভিষেকে নার্ভাস-নাইন্টিতে আউট হওয়া বিশ্বের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন হৃদয়।
হৃদয়ের আগে অভিষেকে নার্ভাস-নাইন্টিতে আউট হন বিশ্বের পাঁচ ব্যাটার। তারা হলেন- নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং (৯০), ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামারা ব্রুকস (৯৩), অস্ট্রেলিয়ার ফিল জ্যাকস (৯৪), ইংল্যান্ডের ইয়োইন মরগান (৯৯) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (৯৩)।
এছাড়াও অভিষেক ওয়ানডে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বপ্নিল পাতিল।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে বাংলাদেশ। ৩৭ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।

১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মোরাতুওয়াতে এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে ওয়ানডেতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ।

আজকের আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিলো ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান। ২০১৯ সালে জুনে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮১ রানের টার্গেটে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান করেছিলো বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ২৭ ওভার শেষে ৮ ইউকেট হারিয়ে ১২৬ রানে ব্যাট করছে আইরিশরা।

প্রসঙ্গত, তৌহিদ হৃদয় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২০২০ বিশ্বকাপ জয়ের একাদশে ছিলেন হৃদয়। এরপরই তিনি জাতীয় দলের এইচপি দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। হৃদয়ের লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ক্রিকেটে পরিসংখ্যান খুবই আশা জাগানিয়া। ৪৬ ম্যাচে ১ হাজার ৬০১ রান করেছেন তিনি। যার গড় ৪৭.০৮ ও স্ট্রাইকরেট ৮১.১৮। ১ হাজার ৬০১ রান করার পথে একটি সেঞ্চুরি ও ১৪ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ১২২।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।