বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মৌলভী সৈয়দের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী

শহীদ মৌলভী সৈয়দের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী সৈয়দ আহমদ।

এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাঁশখালী শহীদ মৌলভী সৈয়দ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সকাল ১০টায় শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বিকাল ৩টায় শেখেরখীল লাল জীবন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মৌলভী শহীদ সৈয়দ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। শুক্রবার (১২ আগস্ট) শেখ মুজিব রোডস্থ ভান্ডার মার্কেটে বিকাল ৪টায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তার প্রতিশোধ নিতে নেমেছিলেন সৈয়দ আহাম্মদ। কমান্ডো গ্রুপ তৈরি করে লিবিয়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হত্যার মাধ্যমে বদলা নেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালের মার্চে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের মাঝামাঝি সৈয়দসহ কয়েকজনকে ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে ‘পুশব্যাক’ করা হয়। সেখান থেকে আটকের পর ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে ১৯৭৭ সালের ১১ আগস্ট তাকে হত্যা করা হয়।

হেলিকপ্টারে মৌলভি সৈয়দের মরদেহ বাঁশখালীর বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছিল সামরিক সরকার। কবরে এক মাস পুলিশ প্রহরাও ছিল।

সৈয়দ আহাম্মদ ১৯৬৮ সালে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম শহর গেরিলাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহরে দুর্ধর্ষ কিছু অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে (১৯৭২-৭৩ সালে) তিনি আওয়ামী যুবলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি হন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সম্পাদক হন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।