বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এইউএপি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে এসোসিয়েশন অফ দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিকের (এইউএপি) ১৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে প্রায় ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০০ এর বেশি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করা হয়। বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। এদিন দুটি সেশনে ‘ভবিষ্যত উচ্চ শিক্ষার কাঠামো নির্ভর’ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা। এদিকে বুধবার (১৬ নভেম্বর) শেষ হয় এই সম্মেলন।

দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে এইউএপির মহাসচিব অধ্যাপক ড. রিকার্ডো পি. পামা অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান। এতে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এমপি ।

উচ্চ শিক্ষার কাঠামো নির্ভর আলোচনা সভায় দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে অংশগ্রহণ করেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। তিনি ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্ভাবনা এবং শিক্ষাকে রূপান্তর করার জন্য একাডেমি এবং ব্যবসাকে কাজে লাগানোর উপর আলোকপাত করেন। এসময় তিনি এইউএপির নতুন সভাপতি হিসেবে শপথ নেওয়া ড.মো. সবুর খানকে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে বুধবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ( বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর ড.বিশ্বজিত চন্দ্র। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ প্রেসিডেন্ট (আইইউএপি) এর সভাপতি ড.ফার্নেন্দো লিয়ে গ্রেসিয়া, এইউএপির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড.মোহাম্মদ সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ও উপ উপাচার্য প্রফেসর ড.এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা নেতাদের নিয়ে গঠিত এই সংস্থার সম্মেলন দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আয়োজন করেছে। ১৪ নভেম্বর এ আয়োজনের পর্দা ওঠে ঢাকার ধানমন্ডির ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কে। এরপর ১৫ নভেম্বর দ্বিতীয় দিনের আয়োজন করা হয় রেডিসন

এইউএপির প্রাথমিক উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হলো সংস্থাটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আত্মসম্পর্ক ও সহযোগিতার সুহৃদ সম্পর্ক বৃদ্ধি করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সর্বোপরি উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক ও কার্যকরী মঞ্চ তৈরি করা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।