বান্দরবানের ফের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

বান্দরবানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবোচনায় আবারও রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি এই তিন উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে করে আবারও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়। যা ব্যবসায়ীদের চিন্তার মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) থেকে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ।

প্রশাসন জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার থেকে রুমা উপজেলার সঙ্গে রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায়ও পর্যটকদের ভ্রমণে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা উপজেলায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে। তার সঙ্গে নতুন করে রোয়াংছড়ি ও থানচি দুটি উপজেলা ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে তিনটি উপজেলা ব্যতীত অন্যসব উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ করতে কোনো বাধা নেই।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞায় বান্দরবান জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রুমা উপজেলার কিংবদন্তি বগালেক, রিজুক ঝর্না, তাজিংডং, ক্যাওক্রাডং, রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড় এবং থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী, রেমাক্রী, নাফাখুম, অমিয়খুম, বাকলাই ঝর্না, আন্ধারমানিকসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।